নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ | প্রিন্ট
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার কেনাবেচার নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ নীতি ঘোষণার পরপরই অস্থির হয়ে উঠেছে কার্ব মার্কেট (খোলাবাজার)। সরকার ডলারের দাম ১১৭ টাকা নির্ধারণের পরের দিনই ১২৫ থেকে ১২৭ টাকায় ডলার বিক্রি হচ্ছে খোলাবাজারে।
এদিকে ডলারের সঙ্গে সঙ্গে ইউরোসহ অন্যান্য বিদেশি মুদ্রার লেনদেনেও এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। অনেক মানি এক্সচেঞ্জেই ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর, ফকিরাপুল, পল্টন, মতিঝিল এলাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলো ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া ব্যাংকের এলসি খোলায় দামও বেড়েছে। গত বুধবার ১১৫ টাকায় এলসি করছিল এ রকম ব্যাংক গতকাল ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত দর নিয়েছে বলে জানা গেছে। এতে করে আমদানি করা পণ্যের দাম আরো বাড়বে।
গত বুধবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার ১১৬ থেকে ১১৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে গতকাল সেখানে ১২৫ থেকে ১২৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে অধিকাংশ এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতেই ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়েছে।
দুপুরে যেসব মানি এক্সচেঞ্জে ১২৫ টাকায় ডলার পাওয়া গেছে, বিকেলেই সেখানে ১২৭ টাকা করে দাম চেয়েছে। অবশ্য কেনার ক্ষেত্রে যে যার মতো করে দর ঠিক করে দিচ্ছে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো।
মিরপুরের জিসান মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের কাছে কোনো ডলার নেই। কেউই আজ (বৃহস্পতিবার) ডলার বিক্রি করতে আসেননি। কিনতে না পারলে বিক্রি করব কীভাবে।
তিনি জানান, যখন ডলারের রেট ঊর্ধ্বমুখী থাকে তখন যাদের কাছে ডলার রয়েছে আরো দাম বাড়ার আশায় তারা ধরে রাখেন। এতে করে ক্রাইসিস তৈরি হয়।
এদিকে ডলারের দাম বাড়ায় অনেক মানি এক্সচেঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের ভীতি তৈরি হয়েছে। এক্সচেঞ্জ হাউজে ডলার থাকলেও গ্রাহক কি না, তা নিশ্চিত না হয়ে তারা বিক্রি করছে না।
গত বছর ডলারের উচ্চ দাম ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়েছিল। সে সময় কয়েকটি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্সও বাতিল করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
Posted ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin